স্ত্রীর স্তন চুষা স্বামীর জন্য যায়েজ কি? What to suck the wife's breast?

স্ত্রীর স্তন চোষা ও দুধ পান কি স্বামীর জন্য হারাম না জায়েজ? একাধিক আলেমর কাছ থেকে শুনতে নিচের ভিডিওটি দেখুন ...

স্ত্রীর স্তন স্বামি কি চোষতে পারবে ও দুধ পান কি স্বামীর জন্য হারাম না জায়েজ? জেনে নিন কয়েকজন আলেমের কাছে থেক। লজ্জা নয় জানতে হবে।

 ত্রীর স্তন চুষা ও দুধ পান করা – মানব জীবনের বিরাট একটি অধ্যায় যৌন সম্ভোগ ও স্বাদে উচ্ছল।

যেখানে থাকে মধুময় মিলন ও তৃপ্তির কল্লোল। অপার্থিব সুখের সজীব দিগন্ত। পরম আনন্দে হারিয়ে যাওয়ার স্নিগ্ধ আহ্বান।  

এই সম্ভোগকে আরো মধুময় ও ফলপ্রসূ করতে ইসলামে রয়েছে বিস্তর নির্দেশনা।

যা মুমিন দাম্পত্য জীবনে ছড়িয়ে দেয় নির্মল সুবাস ও শান্তির বারি। 

ইসলাম মুসলিম দম্পতির বন্ধনকে গেঁথে দেয় চিরস্থায়ী সুতোয়। যা এপার থেকে অপার – জীবনের রঙিন বসন্ত থেকে কবরে শয়ন ; হাশর থেকে জান্নাত ও চিরশান্তির দিগন্ত বিস্তৃত। 

স্ত্রীর স্তন চুষা – হালাল না কি হারাম

মুসলিম দম্পতি যুগলের যৌন সম্ভোগে মূল হচ্ছে বৈধতা।

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন –

তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত্র। কাজেই তোমরা যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে তোমাদের শস্যক্ষেত্রে বিচরণ করো। (সুরা বাকারা – ২২৩)

এই আয়াতে যৌন মিলনে দম্পতি যুগলের ইচ্ছা ও রুচিকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে।

কাজেই যৌন সম্ভোগে স্বামী স্ত্রী তাদের ইচ্ছা ও আগ্রহকে প্রধান্য দিতে পারবে।

এই নীতিতে আপন স্ত্রীর স্তন চোষা স্বামীর জন্য জায়েজ। এটাকে ফোর প্লে বিবেচনা করা হয়। ফোর প্লে ইসলাম সমর্থিত।

রাসুলুল্লাহ – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – জাবির – রাদিয়াল্লাহু আনহু – কে বলেন –

;">তুমি কেন কুমারী মেয়ে বিয়ে করলে না। যাতে তুমি তার সাথে খেলতে আর সেও তোমার সাথে খেলতো। ( সহিহ বুখারি – ৪৯৪৯)

এই হাদিসে ‘খেলা’ দ্বারা ফোর প্লে উদ্দেশ্য নেওয়ার অবকাশ রয়েছে। আর ফোর প্লের মধ্যে আমাদের আলোচিত বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত।

তবে যে সব ক্ষেত্রে স্পষ্টভাবে নিষেধ এসেছে তা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে।

যেমন পায়ুপথে সহবাস, ঋতুস্রাব চলাকালীন সময়ে সহবাস, মুহরিম ও রোজা অবস্থায় সহবাস ইত্যাদি।

মুসলিম স্কলারদের অভিমত

বিন বায – রাহিমাহুল্লাহ – বলেন –

;">‘স্বামী তার স্ত্রী স্তন বা স্তন থেকে দুধ চুষতে সমস্যা নেই।’ (ফাতাওয়া বিন বায)

আরবের বিখ্যাত ফিকাহ বোর্ড ‘আল লাজনাতুদ দায়িমা’ কে করা একটি প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় –

‘স্বামীর জন্য তার স্ত্রীর স্তন চুষা হালাল। তার পেটে স্ত্রীর দুধ পৌঁছে গেলেও হারাম হবে না।’ ( ফাতাওয়া আল লাজনাতুদ দায়িমা ১৯/৩৫১)


শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমিন বলেন –

‘বড় বয়সে দুধ পান প্রভাব সৃষ্টি করে না। কেননা দুই বছর বয়স পর্যন্ত দুধ পান করলে রাযায়াত সাবিত হয়। কিন্তু বড় বয়সে তার কোনো প্রভাব নেই।

এই নীতিতে কেউ আপন স্ত্রীর দুধ পান করে নিলে স্ত্রীর জন্য স্বামী ছেলে গণ্য হবে না।’ ( ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ – ৩/৩৩৮)

ইমাম কাসানি – রাহিমাহুল্লাহ – বলেন –

‘শুদ্ধ বিবাহের দ্বারা স্ত্রী জীবিত থাকাকালে তার মাথা থেকে পা পর্যন্ত দেখা ও স্পর্শ করা হালাল হয়ে যায়।’ (বাদায়িউস সানায়িই – ২/২৩১)

ইবনু আবিদিন বলেন –

;">ইমাম আবু ইউসুফ ইমাম আবু হানিফাকে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন, যে তার স্ত্রীর যৌনাঙ্গ স্পর্শ করে এবং স্ত্রীও তার যৌনাঙ্গ করে – যাতে তাদের উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।

;">এটা কী ঠিক? তিনি বলেন এতে অসুবিধা নেই। আমি আশাবাদি সে এর উত্তম প্রতাদান পাবে। (রদ্দুল মুহতার – ৬/৩৬৭)

স্ত্রীর দুধ পান – হালাল না কি হারাম

স্ত্রীর দুধ পান – স্বামীর পেটে স্ত্রীর দুধ চলে গেলে বা স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করে নিলে তাদের বিবাহ বন্ধনে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হবে না।

কেননা দুই বা আড়াই বছর থেকে বেশি বয়সে দুধ পান করলে তার দ্বার দুধ মায়ের হুকুম প্রতিষ্ঠিত হয় না।

কাজেই স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করে নিলে তাদের মধ্যে স্বামী স্ত্রী সম্পর্কই বহাল থাকবে। মা ছেলের সম্পর্ক সৃষ্টি হবে না।

তবে স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করা থেকে বিরত থাকা উত্তম। কেননা অনেক আলেম কারণ ছাড়া স্ত্রীর দুধ পানকে মাকরুহ আবার অনেকে হারাম বলেছেন।

যদিও বিশুদ্ধ অভিমত অনুযায়ি তার হারাম বা মাকরুহ নয়। কেননা স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধ পান হারাম প্রমাণকারী কোনো দলিল নেই।

বড় বয়সে দুধ পান – দুধ মা না হওয়ার দালায়িল

পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন –

‘আর মায়েরা তাদের সন্তানদেকে পূর্ণ দুই বছর দুধ পান করাবে, যদি দুধ পান করানোর মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।’ (সুরা বাকারা- ২৩৩)

আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ – রাদিয়াল্লাহু আনহু – এর ছেলে থেকে বর্ণিত –

‘একদিন এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে সফরে বের হলেন। ঐ সফরে তাদের একটি সন্তান জন্ম নেয়।

সে সন্তান ছিলো খুব দূর্বল। যার ফলে তার মায়ের দুধ পান করতে পারছিলো না।

তাই স্বামী তার স্ত্রীর স্তন চুষে সন্তানের মুখে দুধ দিতেন। এভাবে দুধ চুষতে গিয়ে তিনি তার স্ত্রীর দুধ পান করার স্বাদ অনুভব করেন।

সফর থেকে ফিরে এ ঘটনা হযরত আবু মুসা (রা.) কে জানালে তিনি বলেন তোমার স্ত্রী তোমার জন্য হারাম হয়ে গেছে। ( অর্থাৎ বিবাহ সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গেছে।)

ঐ লোকটি পুনরায় আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) এর কাছে এসে আবু মুসা (রা.) উক্ত ফাতাওয়া বর্ণনা করলে তিনি বলেন – কী করে তার স্ত্রী হারাম হবে?

অথচ রাসুল – সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম – বলেছেন – প্রাপ্ত বয়স্ত হওয়ার পর দুধ পান করলে কোনো সমস্যা হয় না। আবু দাউদ – ২০৫৯ )

নিদর্শনা আবু মুসা – রাদিয়াল্লাহু আনহু – যে মত দিয়েছিলেন সেটা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ সঠিক মনে করেননি।

তাই তিনি তার কাছে যা সঠিক সেটা পেশ করেছেন।

অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করলে তাদের সম্পর্কে কোন সমস্যা হবে না।

কেননা ‍শিশু বয়সে দুধ পান করলে বিবাহ নিষিদ্ধ হয় কিন্তু প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে গেলে দুধ পান কোনো সমস্যা সৃষ্টি করে না।

আব্দুল্লাহ ইবনে উমর – রাদিয়াল্লাহু আনহু – বর্ণনা করেন –

‘এক আনসারি ব্যক্তি তার বাদীকে বিবাহ করতে চাইলেন। কিন্তু এই আনসারি ব্যক্তির স্ত্রী ঐ বাদীটিকে তার দুধ পান করিয়ে দেন।

(যাতে করে তার স্বামী বিবাহ করতে না পারে) আনসারি ঘরে ফিরে আসলে তার স্ত্রী বললো এই বাদি তোমার মেয়ে হয়ে গিয়েছে।

কেননা আমি তাকে আমার দুধ পান করিয়ে দিয়েছি।

অতপর ঐ আনসারি উমর (রা.) কে এ ঘটনা অবহিত করলে উমর (রা.) শক্তভাবে বলেন – তুমি ফিরে যাও।

তোমার বাদী পূর্বের ন্যায় তোমার বাদী হিসেবেই আছে (তোমার মেয়ে হয়নি অর্থাৎ তুমি তাকে বিবাহ করতে পারবে)

আর তোমার স্ত্রীর কথা প্রত্যাখাত। ( মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক – ১৩৮৯০ )

উক্ত হাদিস সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে প্রাপ্ত বয়সে দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ বন্ধনে সমস্যা হয় না।

অতএব স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করে নিলে বিবাহ বন্ধনে সমস্যা হবে না।

ইসলামি স্কলারদের অভিমত

ড. আব্দুল্লাহ আল ফকিহ বলেন –

স্ত্রীর স্তন থেকে যদি দুধ নির্গত হয় আর তা স্বামী পান করে নেয় তাহলে তা স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে কোনো প্রভাব সৃষ্টি করবে না।

কেননা সংখ্যাগরিষ্ঠ আহলে ইলমের মতে দুই প্রাপ্তবয়সে দুধ পান করলে রাদায়াত সাবিত হয় না।

( আল ফাতাওয়াল মুয়াসারা ফি হায়াতিল যাউজিয়্যাহ – ২/১৪)


শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল উসাইমিন বলেন –

‘বড় বয়সে দুধ পান প্রভাব সৃষ্টি করে না। কেননা দুই বছর বয়স পর্যন্ত দুধ পান করলে রাযায়াত সাবিত হয়। কিন্তু বড় বয়সে তার কোনো প্রভাব নেই।

এই নীতিতে কেউ আপন স্ত্রীর দুধ পান করে নিলে স্ত্রীর জন্য স্বামী ছেলে গণ্য হবে না।’ ( ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ – ৩/৩৩৮)

আরবের বিখ্যাত ফিকাহ বোর্ড ‘আল লাজনাতুদ দায়িমা’ কে করা একটি প্রশ্নের উত্তরে বলা হয় –

‘স্বামীর জন্য তার স্ত্রীর স্তন চুষা হালাল। তার পেটে স্ত্রীর দুধ পৌঁছে গেলেও হারাম হবে না।’

স্ত্রীর দুধ পান এবং লজ্জাস্থান লেহন করার বিধান

জিজ্ঞাসা–১১২৪: আসসালামু আ’লাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। মুফতি সাহেব, বাচ্চাদের দুই বছর পর দুগ্ধপান বন্ধ করে দেওয়া হয় । যদি তারপর সহবাসের সময় স্ত্রী নিজে তার দুগ্ধ যদি পান করতে বলে তাহলে করা যাবে কি? শুধু মাত্র নিজেদের মধ্যে তৃপ্তি ভোগ করার উদ্দেশ্যে। অনুরূপভাবে সহবাসের আগে শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে তৃপ্তি বাড়ানোর জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে এবং স্ত্রী স্বইচ্ছাতে যৌনাঙ্গ এর কিছু অংশ লেহন, চুম্বন–এগুলো করা কি ঠিক হবে ? আমাদের চার ফিকাহ এই নিয়ে কী রায় দিয়েছে এবং আপনার রায়টিও দেবেন হজরত । সবার আগে আমরা আল্লাহকে ভালবাসি, তাই শরীয়াত মুতাবিকই আমল করবো। আমারা নিজেদের মধ্যে শুধুমাত্র ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য এগুলো ভেবেছি ।– Sk saud zaif

জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته

এক. প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, প্রায় সকল আলেম এব্যাপারে একমত যে, স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/৪৬)। কেননা, স্ত্রীর দুধ তার সন্তানের জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَالْوَالِدٰتُ یُرْضِعْنَ اَوْلَادَهُنَّ حَوْلَیْنِ كَامِلَیْنِ

মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু বছর দুধ পান করাবে। (সূরা বাকারা ২৩৩)

তবে স্ত্রীর স্তন চোষা, লেহন করা, মর্দন করা, চুমো দেয়া নিষেধ নয়। হাদিসে এসেছে,

كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها

রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। (যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)

সুতরাং স্ত্রীর স্তনে যদি দুধ থাকে তাহলে স্বামীকে সর্তক থাকতে হবে, যেন দুধ মুখে না আসে। যদি দুধ মুখে আসার আশঙ্কা থাকে সে ক্ষেত্রে চোষণ থেকে বিরত থাকা উচিত। (মাহমূদিয়া কাদিম ১২/৩১০, শামী ১/৩১)

দুই. স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের লজ্জাস্থান চুমো দেয়া বা লেহন করার নিষিদ্ধতার ব্যাপারে কোরআন হাদিসে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না বিধায় বিষয়টিকে অকাট্য হারাম বলার সুযোগ নেই। তবে এর মাঝে ইসলামী শিষ্টাচার-বহির্ভূত কিছু দিক রয়েছে। যেমন,

১. লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক (বীর্য, মযি ইত্যাদি) জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না।

২. মানুষের শরীরের সবচে’ সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।

৩. মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান চুমো দেয়া বা Suck করা বড় গর্হিত কাজ।

৪. মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনাবশত ধারালো দাঁতও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

এসব কারণে ফকিহগণ এটাকে মাকরুহ বলেছেন। তবে সহবাসের পূর্বে নাপাক না লাগার শর্তে কিছু ফকিহ লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার (লেহন নয়) অবকাশ দিলেও এটাকে পরিহার করাকে উত্তম বলেছেন। যেমন, প্রসিদ্ধ হানাফি ফকিহ বুরহানুদ্দীন মাহমুদ ইবন তাজুদ্দীন রহ. বলেন,

إذا أدخل الرجل ذكره في فم امرأته يكره لأنه موضع قراءۃ القرآن فلا یلیق به إدخال الذکر به

‘যদি পুরুষ নিজের লজ্জাস্থান স্ত্রীর মুখে প্রবেশ করায় তাহলে তা মাকরুহ হবে। কেননা, মুখ কোরআন তেলাওয়াতের স্থান। সুতরাং এখানে লজ্জাস্থান প্রবেশ করানো অনুচিত।’ (আল্মুহীতুল বুরহানী ৮/১৩৪)

আল মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা (৯/৩২)– এসেছে,

وصرح الحنابلة بجواز تقبیل الفرج قبل الجماع ، وکراہته بعدہ

‘হাম্বলি ফকিহগণ স্পষ্টভাবে বলেছেন, সহবাসের পূর্বে হলে স্ত্রীর লজ্জাস্থান চুমো দেয়া জায়েয এবং পরে মাকরুহ।’

দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা উত্তরে লিখেছেন,

تقبیل أحد الزوجین فرج الآخر میں ان آداب کی رعایت ناممکن ہے، پھر زبان جس سے اللہ کا ذکر کیا جاتا ہے اس سے شرمگاہ کو بوسہ لینا وغیرہ کسی بھی طرح مناسب معلوم نہیں ہوتا، نیز یہ جانوروں کا طریقہ ہے؛ اس لیے بہرصورت ایک مسلمان کو اس سے پرہیز کرنا چاہیے، باقی اگر کسی نے غلبہ شہوت میں ایسی حرکت کرلی اور شرمگاہ پر نجاست نہیں لگی ہوئی تھی تو ناجائز یا حرام نہیں کہا جائے گا۔

‘স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের লজ্জাস্থানে চুমো দেয়ার মাঝে এসব (ইসলামী) শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখা অসম্ভব। তাছাড়া যবান যা দ্বারা আল্লাহর জিকির করা হয় তা দ্বারা লজ্জাস্থানে চুমো ইত্যাদি দেয়া কোনোভাবেই সঙ্গত মনে হয় না। এটা পশুদের স্বভাবও বটে। তাই একজন মুসলমানের উচিত সর্বাবস্থায় এ থেকে বিরত থাকা। তবে কেউ যদি অত্যাধিক উত্তেজনার কারণে এ কাজ করে ফেলে এবং লজ্জাস্থানে নাপাকি না থাকে তাহলে নাজায়েয কিংবা হারাম বলা যাবে না।’ (http://www.darulifta-deoband.com/home/ur/Halal–Haram/150188)

والله اعلم بالصواب
উত্তর দিয়েছেন
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url