স্ত্রীর দুধ স্বামী খেতে পারবে যে সময়ে । স্ত্রীর দুধ খাওয়া জায়েজ ঝগড়া ...
স্ত্রীর দুধ পান এবং লজ্জাস্থান লেহন করার বিধান
জিজ্ঞাসা–১১২৪: আসসালামু আ’লাইকুম ওরাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। মুফতি সাহেব, বাচ্চাদের দুই বছর পর দুগ্ধপান বন্ধ করে দেওয়া হয় । যদি তারপর সহবাসের সময় স্ত্রী নিজে তার দুগ্ধ যদি পান করতে বলে তাহলে করা যাবে কি? শুধু মাত্র নিজেদের মধ্যে তৃপ্তি ভোগ করার উদ্দেশ্যে। অনুরূপভাবে সহবাসের আগে শুধুমাত্র নিজেদের মধ্যে তৃপ্তি বাড়ানোর জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করে এবং স্ত্রী স্বইচ্ছাতে যৌনাঙ্গ এর কিছু অংশ লেহন, চুম্বন–এগুলো করা কি ঠিক হবে ? আমাদের চার ফিকাহ এই নিয়ে কী রায় দিয়েছে এবং আপনার রায়টিও দেবেন হজরত । সবার আগে আমরা আল্লাহকে ভালবাসি, তাই শরীয়াত মুতাবিকই আমল করবো। আমারা নিজেদের মধ্যে শুধুমাত্র ভালোবাসা বাড়ানোর জন্য এগুলো ভেবেছি ।– Sk saud zaif
জবাব: وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
এক. প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই, প্রায় সকল আলেম এব্যাপারে একমত যে, স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/৪৬)। কেননা, স্ত্রীর দুধ তার সন্তানের জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالْوَالِدٰتُ یُرْضِعْنَ اَوْلَادَهُنَّ حَوْلَیْنِ كَامِلَیْنِ
মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু বছর দুধ পান করাবে। (সূরা বাকারা ২৩৩)
তবে স্ত্রীর স্তন চোষা, লেহন করা, মর্দন করা, চুমো দেয়া নিষেধ নয়। হাদিসে এসেছে,
كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন। (যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)
সুতরাং স্ত্রীর স্তনে যদি দুধ থাকে তাহলে স্বামীকে সর্তক থাকতে হবে, যেন দুধ মুখে না আসে। যদি দুধ মুখে আসার আশঙ্কা থাকে সে ক্ষেত্রে চোষণ থেকে বিরত থাকা উচিত। (মাহমূদিয়া কাদিম ১২/৩১০, শামী ১/৩১)
দুই. স্বামী-স্ত্রী
পরস্পরের লজ্জাস্থান চুমো দেয়া বা লেহন করার নিষিদ্ধতার ব্যাপারে কোরআন
হাদিসে স্পষ্ট কোনো বক্তব্য পাওয়া যায় না বিধায় বিষয়টিকে অকাট্য হারাম বলার
সুযোগ নেই। তবে এর মাঝে ইসলামী শিষ্টাচার-বহির্ভূত কিছু দিক রয়েছে। যেমন,
১. লজ্জাস্থান থেকে নির্গত নাপাক (বীর্য, মযি ইত্যাদি) জিহ্বা, মুখ ইত্যাদিতে লাগবে। আর জরুরত ছাড়া নাপাক স্পর্শ করাকে ফকিহগণ বৈধ মনে করেন না।
২. মানুষের শরীরের সবচে’ সম্মানিত অঙ্গ হলো চেহারা। আর লজ্জাস্থান হলো নাপাকির জায়গা। সুতরাং সম্মানিত জায়গাকে নাপাকির জায়গায় স্পর্শ করানো অবশ্যই নিন্দনীয়।
৩. মুখ দ্বারা আল্লাহর কালাম তিলাওয়াত করা হয়, যিকির করা হয়। এই মুখে নাপাক লাগানো এবং নাপাকির স্থান চুমো দেয়া বা Suck করা বড় গর্হিত কাজ।
৪. মুখের অনেক জীবাণু লজ্জাস্থানে রোগ সংক্রামণের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাছাড়া লজ্জাস্থানের জীবাণু মুখে এবং মুখের ভায়া হয়ে ভেতরে রোগ সংক্রামণ করার আশংকা থাকে। দুর্ঘটনাবশত ধারালো দাঁতও বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এসব কারণে ফকিহগণ এটাকে মাকরুহ বলেছেন। তবে সহবাসের পূর্বে নাপাক না লাগার শর্তে কিছু ফকিহ লজ্জাস্থানে চুমু দেয়ার (লেহন নয়) অবকাশ দিলেও এটাকে পরিহার করাকে উত্তম বলেছেন। যেমন, প্রসিদ্ধ হানাফি ফকিহ বুরহানুদ্দীন মাহমুদ ইবন তাজুদ্দীন রহ. বলেন,
إذا أدخل الرجل ذكره في فم امرأته يكره لأنه موضع قراءۃ القرآن فلا یلیق به إدخال الذکر به
‘যদি পুরুষ নিজের লজ্জাস্থান স্ত্রীর মুখে প্রবেশ করায় তাহলে তা মাকরুহ হবে। কেননা, মুখ কোরআন তেলাওয়াতের স্থান। সুতরাং এখানে লজ্জাস্থান প্রবেশ করানো অনুচিত।’ (আল্মুহীতুল বুরহানী ৮/১৩৪)
আল মাউসুয়াতুল ফিকহিয়্যা (৯/৩২)– এসেছে,
وصرح الحنابلة بجواز تقبیل الفرج قبل الجماع ، وکراہته بعدہ
‘হাম্বলি ফকিহগণ স্পষ্টভাবে বলেছেন, সহবাসের পূর্বে হলে স্ত্রীর লজ্জাস্থান চুমো দেয়া জায়েয এবং পরে মাকরুহ।’
দারুল উলুম দেওবন্দের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁরা উত্তরে লিখেছেন,
تقبیل أحد الزوجین فرج الآخر میں ان آداب کی رعایت ناممکن ہے، پھر زبان جس سے اللہ کا ذکر کیا جاتا ہے اس سے شرمگاہ کو بوسہ لینا وغیرہ کسی بھی طرح مناسب معلوم نہیں ہوتا، نیز یہ جانوروں کا طریقہ ہے؛ اس لیے بہرصورت ایک مسلمان کو اس سے پرہیز کرنا چاہیے، باقی اگر کسی نے غلبہ شہوت میں ایسی حرکت کرلی اور شرمگاہ پر نجاست نہیں لگی ہوئی تھی تو ناجائز یا حرام نہیں کہا جائے گا۔
‘স্বামী-স্ত্রী পরস্পরের লজ্জাস্থানে চুমো দেয়ার মাঝে এসব (ইসলামী) শিষ্টাচারের প্রতি লক্ষ রাখা অসম্ভব। তাছাড়া যবান যা দ্বারা আল্লাহর জিকির করা হয় তা দ্বারা লজ্জাস্থানে চুমো ইত্যাদি দেয়া কোনোভাবেই সঙ্গত মনে হয় না। এটা পশুদের স্বভাবও বটে। তাই একজন মুসলমানের উচিত সর্বাবস্থায় এ থেকে বিরত থাকা। তবে কেউ যদি অত্যাধিক উত্তেজনার কারণে এ কাজ করে ফেলে এবং লজ্জাস্থানে নাপাকি না থাকে তাহলে নাজায়েয কিংবা হারাম বলা যাবে না।’ (http://www.darulifta-deoband.com/home/ur/Halal–Haram/150188)
শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
============
স্তনবৃন্ত চুষতে গিয়ে স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেতে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী কি হারাম হয়ে যাবে?
রতিক্রীড়ার
সময় স্ত্রীর দুধ যদি স্বামীর পেটে চলে যায়, তাহলে স্ত্রী স্বামীর মা হয়ে
যাবে না। কারণ দুধ পান করিয়ে “মা” হওয়ার দুটি শর্ত আছেঃ
(এক) দুধ পান যেন বিভিন্ন সময়ে পাঁচবার হয়।
(দুই) দুধপান যেন দুধপানের বয়সের ভিতরে হয়। আর তা হল দুই বৎসর বয়সের ভিতরে। যেহেতু মহান আল্লাহ বলেছেন,
“আমি তো মানুষকে তার পিতা মাতার প্রতি সদাচারনের নির্দেশ দিয়েছি। জননী কষ্টের পর কষ্ট বরণ করে সন্তানকে গর্ভে ধারণ করে এবং তার স্তন্যপান ছাড়াতে দু বছর অতিবাহিত হয়।” (লুকমানঃ ১৪)
জননীগণ তাঁদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু বছর দুধ পান করাবে; যদি কেউ দুধ পান করার সময় পূর্ণ করতে চায়। (বাকারাহঃ ২৩৩)
সুতরাং দু'বছর বয়সের পরে দুধপান করলে মা প্রমাণিত হবে না। আর ‘মা’ প্রমাণিত না হলে স্ত্রী হারাম হবে না। (ইবনে উষাইমীন)
======= =========== =============== ============ =============
সহবাসের সময় আমার স্বামী প্রবল উত্তেজনাবসতঃ এমন অনেক অশালীন কথা বলে, যে
কথা অন্য সময় বলে না। অনেক সময় সে সব বলে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। তাতে কি তার
পাপ হবে?
স্বামী স্ত্রীর মাঝে যে যৌনতা করা হয়, সেটাই অন্যের সাথে করা অশালীনতা অসভ্যতা। সুতরাং আপসের সঙ্গম বৈধ হলে প্রবল উত্তেজনার পূর্বে তৃপ্তি গ্রহণ করতে ঐ শ্রেণীর কোন কথা বলা দূষণীয় নয়। তবে তা না বললে যদি চলে, তাহলে ত্যাগ করাই উত্তম। (মুহাম্মাদ স্বালেহ আল মুনাজ্জিদ)
======= ========== ============= ========= ========== ===
স্ত্রীর স্তনে মুখ দেওয়ার সময় যদি দুধ পান করে ফেলে তাহলে কি স্ত্রী তালাক হয়ে যাবে? শায়খ আহমাদুল্লাহ।
স্বামী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্ত্রী স্বামী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবককে এবং স্ত্রী যদি কুশ্রী হয়, তাহলে স্বামী স্ত্রী সহবাসের সময় কোন সুশ্রী যুবতীকে কল্পনায় এনে তৃপ্তি নিতে পারে কি?
এই শ্রেণীর কল্পিত পরপুরুষ বা পরস্ত্রির সহবাস এক প্রকার ব্যভিচার। সহবাসের সময় স্ত্রীর জন্য বৈধ নয় অন্য কোন সুন্দর অন্য সুস্বাস্থ্যবান পুরুষকে কল্পনা করা এবং স্বামীর জন্যও বৈধ নয় অন্য সুন্দরী সুস্বাস্থ্যবতী যুবতীকে কল্পনা করা। বৈধ নয়, পরপুরুষ বা পরস্ত্রীর নাম নিয়ে উভয়ের তৃপ্তি নেওয়া অথবা উত্তেজনা বৃদ্ধি করা। মনে মনে যাকে ভালবাসে, তার সাথে মিলন করছে খেয়াল করা। উলামাগন বলেন, “ যদি কেউ এক গ্লাস পানি মুখে নিয়েও কল্পনা করে যে, সে মদ খাচ্ছে, তাহলে তা পান করা হারাম।” ৬৪৭ (মাদখাল ২/১৯৪, ফুরু ৩/৫১, ত্বারহুত তাষবীর ২/১৯)
সন্তান প্রসবের পর কখন মিলন বৈধ হয়?
সন্তান প্রসবের পর যখন রক্তস্রাব বন্ধ হয়ে যায়, তখন থেকেই মিলন বৈধ। স্রাব অব্যাহত থাকলে ৪০ দিন পর্যন্ত অবৈধ। ৪০ দিন অতিবাহিত হয়ে গেলে স্রাব থাকলেও মিলন বৈধ।
========= ================= ============ =============